২) সহ-সভাপতি : সহ-সভাপতি সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এ ছাড়াও তিনি তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।
৩) সাধারন সম্পাদক : সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে সংগঠনের সভা আহ্বান করেন। তিনি প্রয়োজনবোধে অন্যান্য কর্মকর্তার ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তাদের কাজের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করেন। সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্যে দায়ি থাকেন। প্রতিটি সভায় তিনি সংগঠনের কার্যাবলীর রিপোর্ট পেশ করেন।
৪) সহ-সাধারন সম্পাদক : তিনি সাধারন সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করেন। সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারন সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এছাড়াও তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।
৫) সাংগঠনিক সম্পাদক : প্রতিষ্ঠানকে সাংগঠনিক ভাবে সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট থাকেন। সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান। সংগঠনের সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তিনি সংগঠনের সকল সভা আহ্বান করবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন । সংগঠনের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব ও প্রশাসনিক কার্যভার তার উপর ন্যস্ত থাকবে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বও তাকে পালন করতে হবে । সংগঠনের নথিপত্র ও সম্পদ তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং এ ব্যাপারে তিনি একটি রেজিস্টার খাতা রাখবেন । সভাপতির সাক্ষর থাকবে । তিনি বছরের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং তা কার্যকরী পরিষদেও অনুমোদনক্রমে, তা বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন ।
৬) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এছাড়াও তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।
৭) প্রচার সম্পাদক: পদের নামেই বোঝা যাচ্ছে তার কাজ কি হবে। মূলত প্রচার করাই প্রচার সম্পাদকের কাজ। তিনি যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠার প্রচার সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হবেন সেই সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান, সংঘ বা দলের যেকোনো কার্যক্রম সম্পর্কিত খবরাখবর অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য তিনি মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করেন। প্রচার কাজের জন্য তার আওতাধীণ অন্যান্য কর্মীরা থাকলে তাদেরকে পরিচালিত করাও তার কাজ। প্রচার কাজের জন্য সংযুক্ত চিঠি, নোটিশ, পোস্টার, ব্যানারসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট তার দ্বায়িতে থাকবে।
৮) ক্যাশিয়ার : সংগঠনের যাবতীয় অর্থ তার মারফত ব্যাংকে জমা থাকে। তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব রক্ষা ও প্রদান করেন। বিভিন্ন বিভাগের আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করেন।
৯) দপ্তর সম্পাদক : সংগঠনের যাবতীয় জিনিসপত্র দেখাশোনা ও সংরক্ষণ করেন। –এ ছাড়াও সংগঠনে অর্থ সংক্রান্ত, গবেষণা, তথ্য, , প্রকাশণা ইত্যাদি বিভাগে সম্পাদক থাকতে পারেন।
১০) আইটি সম্পাদকঃ সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।সংগঠনকে আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট করবেন।সংগঠনের ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়াপে আপডেট করবেন।সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কপি সংরক্ষন করবেন।বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
১১) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।
১২) ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ স্বপ্নর ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।ধর্মীয় সংহতি বজায় রাখতে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।
আশা করি নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তারা সংগঠনকে আরো সুন্দর ও শৃংখল ভাবে এগিয়ে নেবেন,,, ইনশআল্লাহ ,,,
ReplyDeleteধন্যবাদ। সংগঠণের বিভিন্ন পদের নাম ও তাদের দায়িত্ব এতো সুন্দর করে লেখার জন্য।
ReplyDeleteমসজিদ কমিটির উচিত উত্তম নৈতিকতা, বিনয়, দয়া, ভালবাসা এবং আতিথেয়তা প্রদর্শন করা। তাদের সর্বদা নৈতিকভাবে আচরণ করা উচিত, তারা মসজিদের পরিদর্শক, স্টাফ সদস এবং মসজিদের সার্বিক কাজ পরিচালনা করা এদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মসজিদ কমিটির পদ সমূহ কি কি? কমিটির বৈশিষ্ট্য, দায়িত্ব ও কর্তব্য জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো অনেক কিছু সিখলাম,
ReplyDelete